গৌরনদী প্রতিবেদক ॥ প্রতিপক্ষের হামলায় রক্তাক্ত জখম হওয়া স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে হামলাকারীদের হাতে শ্লীলতাহানীর স্বীকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। স্থানীয়রা স্বামী-স্ত্রী দুইজনকেই উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত কুড়িরচর গ্রামের। এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে হাসপাতালে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রোকন হাওলাদার (৪৭) জানান, তার নানা কুড়িরচর গ্রামের বাসিন্দা রেয়াজ উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র সন্তান না থাকায় তার (রেয়াজ উদ্দিন) সম্পত্তি মুসলিম আইন অনুযায়ী রেয়াজ উদ্দিনের ভাইয়ের ছেলেদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়। এরপর অবশিষ্ট সম্পত্তি তার (রেয়াজ উদ্দিনের) পাঁচ কন্যার মাঝে বন্টন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ওই সম্পত্তি রোকন তার খালাদের কাছ থেকে সাবকবলা দলিলমূলে ক্রয় করে দীর্ঘদিন যাবত বসতবাড়ি করে ভোগদখল করে আসছেন। এনিয়ে তার (রোকন) দুর সম্পর্কীয় মামাতো ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। তিনি আরও জানান, পূর্বে একাধিকবার ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় প্রতিপক্ষরা। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ আগস্ট ওই সম্পত্তি দখল করার জন্য তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ হাসান হাওলাদার, খলিল হাওলাদার, সাকিব হাওলাদার, কবির হাওলাদার, সাব্বির হাওলাদার, শাহনাজ বেগম ও লাকী বেগম তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে (রোকন হাওলাদার) পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় রক্তাক্ত জখম হওয়া স্বামীর প্রাণবাঁচাতে রোকনের স্ত্রী আফসানা আক্তার এগিয়ে আসলে তার শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে বেধম মারধর করে। রোকন হাওলাদার আরও জানান, বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজনে নাটকীয়ভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সরিকল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ অলিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় উভয়পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply